Posted on: July 8, 2020 Posted by: admin Comments: 0
kolkata-to-dhaka-catalog-dress

ইণ্ডিয়া থেকে কি সব কিছুই ইমপোর্ট করা যায়? এটা প্রায় সবারই একটা খুব Common প্রশ্ন। চলুন কিছু ফ্যাক্টর সম্পর্কে একটু জেনে নিই। প্রথমে জেনে নিই ইণ্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কি কি উপায়ে পণ্য আসে। ইণ্ডিয়া আর বাংলাদেশের বর্ডার লাগোয়া হওয়ার কারণে এখানে খুব সহজেই বর্ডার ক্রস বা আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে চোরা চালানের একটা ব্যাপার চলে আসে। এই ব্যাপারটা অবৈধ, সাথে যেকোন ব্যবসায়ের জন্য অনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি যখন কোন ইমপোর্টারের কাছ থেকে জানবেন যে যেকোন কিছু আনা যাবে তখন একটু ভেবে দেখবেন ব্যাপারগুলো।

এবার আসি কলকাতা থেকে ঢাকায় ইমপোর্ট এর ব্যাপারে, যা বৈধ উপায়। এখানে অনেক ধরনের নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করতে হয়। সাথে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে ইমপোর্ট করার জন্য যে সকল প্রসিডিউর ফলো করতে হয় সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। তাই শুধুমাত্র Bulk Quantity পণ্যের জন্যই ইমপোর্ট করে পোষাবে।

কি কি আইটেম কলকাতা থেকে ঢাকায় ইমপোর্ট করতে পারবেন

তাহলে আপনি কি কি আইটেম কলকাতা থেকে ঢাকায় ইমপোর্ট করতে পারবেন? আমরা Bulk Quantity তে নিচের পণ্যগুলোর অর্ডার পাই-

১। থ্রি-পিস (সালওয়ার-স্যুট)
২। শাড়ি
৩। কুর্তা/ কুর্তি
৪। জুতা
৫। ব্যাগ (কাপড়/ চামড়ার)
৬। মেটালের তৈরি গয়না
৭। অপটিকস (চশমা/ সানগ্লাস)

কলকাতা-থেকে-ঢাকায়-ইমপোর্ট
কলকাতা থেকে ঢাকায় ইমপোর্ট

আইটেম গুলোর দিকে খেয়াল করলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে ১ থেকে ৩ পর্যন্ত আইটেম গুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই এগুলো যখন তখন যেকোন পরিমাণে দিলেও সহজে ইমপোর্ট করে ফেলা যায়। কিন্তু বাকি আইটেমগুলো শিপমেণ্ট হতে কিছুটা সময় লাগে। এই বোঝা-পড়াটা খুব জরুরী। তবে বর্তমানে ইণ্ডিয়ান অনলাইন স্টোরের আইটেমগুলোও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। জনপ্রিয় সব অনলাইন স্টোরের অর্ডারগুলোও আপনি সহজেই করতে পারবেন নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। মূলতঃ যাদের কলকাতাতে নিজস্ব অফিস/ ওয়্যারহাউজ এবং জনবল আছে তাদের মাধ্যমে যেকোন অনলাইন স্টোরের অর্ডার করতে পারবেন।

তবে অনেকের চাহিদার মধ্যে অন্যতম একটা আইটেম হচ্ছে কসমেটিকস আইটেম, যা আমরা ইমপোর্ট করতে পারলেও আপনার জন্য খরচে পোষানোর ব্যাপারটা ভিন্ন। Kolkata to Dhaka Cosmetics Shipment পোস্টে এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। মনে রাখবেন ইণ্ডিয়াতে আপনি অনেক ওয়্যারহাউজ পাবেন, যার বেশিরভাগই Shared Warehouse. অনেকেই এক্সপোর্টারদের এজেণ্ট হিসেবে কাজ করে। তাই শুধুমাত্র কম খরচের দিকে গুরুত্ব না দিয়ে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

Leave a Comment