প্রথমেই ছবিটা কেনো Confusing সেটা একটু জানিয়ে রাখছি। যারা India to Bangladesh Import Service নিয়ে সার্চ করছেন বা ভালো সার্ভিস প্রোভাইডার খুঁজছেন তারা আসলে এই শুরুর ধাপে অনেক Confused হয়ে যান। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সঠিক তথ্যের অভাব। ইণ্টারনেটে কোথাও এই বিষয়ে যথাযথ ইনফরমেশন পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। আজকের পোস্টে আমরা চেষ্টা করবো আপনাদেরকে কিছু তথ্যনির্ভর বিষয় শেয়ার করতে যেন আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
Import Service vs. Hand Carry
ইমপোর্ট সার্ভিস আর হ্যাণ্ড ক্যারি বা লাগেজ ক্যারি যা-ই বলা হোক না কেন দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রক্রিয়া। আপনি খুব সহজেই এই দুইটা ব্যাপার বুঝতে পারবেন। ইণ্ডিয়া থেকে ইমপোর্টের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার সব সময় মাথায় রাখতে হবে ইন্ডিয়া থেকে মিক্সড আইটেম ইমপোর্ট করা যায় না। এটা ইণ্ডিয়ার এক্সপোর্ট সিস্টেম সাপোর্ট করে না। আপনি যেকোন এজেণ্টের সাথে কথা বলার সময় কিছু তথ্য জেনেই খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন যে তারা কি আসলে ইমপোর্ট করছে নাকি হ্যাণ্ড ক্যারিতে সার্ভিস দিচ্ছে। এখানে কিছু পার্থক্য জানিয়ে রাখছি-
১। ইমপোর্ট করতে আপনাকে অবশ্যই যেকোন আইটেম (HS Code অনুযায়ী) কাস্টমসে ঘোষণা করতে হবে। তাই অবশ্যই আপনি যে প্রোডাক্ট দিচ্ছেন তার নির্দিষ্ট একটা Quantity শিপিং লিস্টে থাকতে হবে।
২। ইণ্ডিয়াতে GST বিলিং বাধ্যতামূলক। আপনি যে পণ্যটি আনতে চাচ্ছেন তা হয় আপনার ইণ্ডিয়ার এক্সপোর্টারের মাধ্যমে যথাযথ বিলের মাধ্যমে কিনতে হবে। অন্যথায় আপনার এক্সপোর্টারের যদি সেই পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের লাইসেন্স থাকে সে বিলি ইস্যু করে দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই GST এর সমুদয় টাকা পরিশোধ করতে হবে। (এই একটা বিষয় মাথায় রেখে কথা বললেই আপনি বুঝে যাবেন কে ইমপোর্ট করছে আর কে হ্যাণ্ড ক্যারি করছে।)
৩। সস্তার তিন অবস্থা- এটা যদিও অনেক পুরানো প্রবাদ তারপরেও আমরা ব্যবসায়ে একটু বেশি লাভের আশায় খরচ কমানোর জন্য অনেক কিছুই চেষ্টা করি। তবে সাবধান। ইমপোর্টের খরচের চেয়ে হ্যাণ্ড ক্যারির খরচ কম হলেও সেটা খুব একটা কমও না। আর যারা হ্যাণ্ড ক্যারি করে, তারাও ইমপোর্টের খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই রেইট দেয়। কিছুটা কমিয়ে দেয় যেন কাস্টোমার লোভে পরে হলেও সার্ভিস নেয়।
৪। ইমপোর্টের ক্ষেত্রে সাধারণত শিপমেণ্ট হওয়ার ৫-৭ দিনের মধ্যেই প্রোডাক্ট বাংলাদেশে ডেলিভারি পাওয়া যায়। আর হ্যাণ্ড ক্যারিতে আসলে কতো দিনে প্রোডাক্ট হাতে পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আর কাস্টোমার ধরার জন্য শুরুতে এটা কেউই বলবে না। যখন শুনবেন আপনার শিপমেণ্ট কাল আসছে/ পরশু আসছে/ এই সপ্তাহেই আসছে/ সামনের সপ্তাহেই আসছে/ কাস্টমসে আটকা আছে তখনই বুঝে নিবেন যে আপনি খপ্পরে পরে গিয়েছেন। সময়মতো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না করলে বা দিনের পর দিন শিপমেণ্ট ফেলে রাখলে প্রতি দিনের জন্য অনেক বড় অংকের টাকা জরিমানা গুণতে হয়।
এই কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে একটু চিন্তা করলেই আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। তারপরেও অনেকে বিপদে পরে। কিভাবে পরে তাও জানিয়ে রাখছি পোস্টের পরের অংশে।
Hand Carry তে কি কি সমস্যায় পরতে পারেন
চোরের ১০ দিন গৃহস্তের ১ দিন- এটাও অনেক পুরানো প্রবাদ, তাও আমরা ভুলে যাই। আপনার পরিচিত/ আপনার পরিচিত কারোর পরিচিত বা যেকোন মাধ্যমেই হোক আপনি জেনেছেন যে কেউ এই সার্ভিস টা দিচ্ছে। কিন্তু ওই যে একই কথা- কবে যে ধরা খাবে তা কেউ জানে না। আপনার শিপমেণ্ট যদি কাস্টমসে ধরা পরে সাধারণত সেই শিপমেণ্টের প্রোডাক্ট আর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। দুঃখজনক হলেও সত্য তখন আপনার এজেণ্ট আপনাকে কাল পাবেন/ পরশু পাবেন/ কাস্টমসে দেরী হচ্ছে বলে যতো দিন পারবে ঘুরাবে, তারপর আর তাকেও খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
India to Bangladesh Import Service by Kolkata 2 Dhaka
এবার আমাদের India to Bangladesh Import Service এর ব্যাপারে জানাচ্ছি-
১। আমরা শুধুমাত্র বৈধভাবে ইমপোর্ট করে থাকি।
২। আপনার প্রতিটা পণ্য আমাদের ইণ্ডিয়ার এক্সপোর্ট কোম্পানির মাধ্যমে কিনতে হবে এবং আমাদের মাধ্যমেই পেমেণ্ট করতে হবে।
৩। আপনি যে পণ্য কিনতে চান বা যে সেলার থেকে কিনতে চান তার যদি GST Billing না হয় এবং আমাদেরও যদি সেই পণ্যের লাইসেন্স না থাকে তাহলে সে পণ্য আমরা এনে দিতে পারবো না।
৪। আমাদের কলকাতার ওয়্যারহাউজে আপনার পণ্য পৌঁছানোর ১০ দিনের মধ্যে আপনি তা বাংলাদেশে ডেলিভারি পাবেন। তবে যদি আপনার অর্ডার Quantity অনেক কম হয় আর আমাদের সেই ধরনের প্রোডাক্টের অর্ডার হাতে না থাকে অথবা কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলে আসে তাহলে কিছুটা দেরী হতে পারে।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কি কি হতে পারেঃ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, লকডাউন, কাস্টমস ট্যাক্স/ ডিউটির বড় ধরনের পরিবর্তন, কার্গো ফ্লাইটের ভাড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন, বৈদেশিক মুদ্রার মানে বড় ধরনের পরিবর্তন, বা বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রভাব ফেলে এমন পরিস্থিতি/